জাতিসংঘের ইরানের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত ও ৩২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) ইসরায়েলের চালানো হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে, যা ইরানের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে তেহরান ও আশপাশের এলাকায় বহু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে—এর মধ্যে ছিল পারমাণবিক স্থাপনা ও সরকারি দপ্তর। হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী ও সেনা কমান্ডারও।

ইসরায়েলের আক্রমণের জবাবে পাল্টা শতাধিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান— এমনটাই দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আইডিএফ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন জানান, ইরান থেকে একযোগে শতাধিক ড্রোন ছোড়া হয় ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই ড্রোনগুলো প্রতিহত করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

ইসরায়েলের বিমান বাহিনী ইরানের একাধিক পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। আজ শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা নূর নিউজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ এ তথ্য জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে সেখানকার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের উদ্দেশ্যে   বিমানটি যাত্রা করে। উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই এটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানে যে ২৪২ আরোহী ছিলেন তাদের মধ্যে ২৩০ জন ছিলেন সাধারণ যাত্রী। আর বাকি ১২ জন ছিলেন ক্রু। বিমানটিতে করে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছিলেন ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান নাগরিক।