জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, যতদিন ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে রাখবে, ততদিন ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হতে পারে না। ভারত হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে জুলাই গণহত্যাকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের এই অবস্থান পরিবর্তন না করলে, বাংলাদেশ–ভারত সম্পর্ক শীতলই থাকবে।  চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার (০২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, একদল সংস্কারকে ভেস্তে দিচ্ছে, আরেক দল নির্বাচন পেছাতে চায়। তার মতে, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচিত হলে গণভোট নির্বাচনের দিন হলেও সমস্যা নেই। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমাদের জুলাই সনদের প্রয়োজন নেই। একটি সংসদ প্রয়োজন, যারা গণতন্ত্রকে বাস্তবায়ন করবে। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় এই কথা বলেন তিনি। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার তাদের ভুলিয়ে দিতে চায় এমন অভিযোগ তুলে মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, এই সরকার কোথাও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে হেয় করার চেষ্টা চলছে। অনেক ত্যাগ আর তিতিক্ষার বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই সংগ্রামের সঙ্গে অন্য কোনো আন্দোলনের তুলনা হয় না। এই দেশের জন্ম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে।

কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলায় মিনিবাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। গতকাল রশুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে টেকনাফ-কক্সবাজার হাইওয়ের হ্নীলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকার নাগুমিয়ার ছেলে জাকির হোসাইন জেকি (মোটরসাইকেল চালক) এবং লেদা লামারপাড়ার নাজুর ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্না (মিনিবাসের হেল্পার)।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেছেন, নৌকা ডুবেছে, এখন শাপলা ভাসবে। ইসির ‘ইগো’ ও একটি বিশেষ দলের প্রভাবের কারণেই এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। শাপলা হবে ডুবে যাওয়া নৌকার বিকল্প প্রতীক। গতকাল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে এনসিপির আঞ্চলিক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সরোয়ার তুষার আরও বলেন, আওয়ামী লীগের পর জাতীয় পার্টিই দেশের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে। তাদের নেতা এরশাদ এখন কবরে, জাতীয় পার্টিও সেই পথে হাঁটছে। এরা ভারতের এজেন্ট, জাতীয় পার্টির ব্যানারে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা চলছে, তা দেশের জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না।