গাজা জুড়ে গতকাল বুধবার (২১ মে) ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৯৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা। এদিন ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দেইর আল-বালাহ এলাকায় একটি গুদামঘরে হামলা চালায়, যেখানে গৃহহীন ও বাস্তুচ্যুত মানুষরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। এতে অন্ত:ত ৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৯০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। টানা হামলা ও রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গতকাল মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু নিউজ এজেন্সি।

দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় স্বজন হারানো ১০০০ ফিলিস্তিনিকে হজের আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি আরব। বিনা খরচে তারা হজ পালন করতে পারবেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, আমন্ত্রণ পাওয়া ফিলিস্তিনিদের হজের সব খরচ বহন করবেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। যেসব ফিলিস্তিনির স্বজনরা কারাবন্দি হয়েছে কিংবা ইসরাইলি হামলায় আহত হয়েছেন, তাদেরও এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদি আরবে আগামী ৪ বা ৫ জুন এ বছরের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আজ মঙ্গলবার (২০ মে) ভোররাতের সর্বশেষ বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছে। হামলার পূর্বে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনুসের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এদিকে চিকিৎসা সূত্রগুলো জানায়, আগের দিন গতকাল সোমবার (১৯ মে) দিনভর ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৮৪ থেকে বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে। যুদ্ধ শুরুর পর এই দিনটি ছিল অন্যতম প্রাণঘাতী, যেখানে সাধারণ জনগণই মূলত: হামলার শিকার হয়েছে। সব মিলিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৬৯ হয়েছেন।