আশা ও আত্মবিশ্বাসে ভর করেই ঢাকায় পা রেখেছেন ইংল্যান্ডপ্রবাসী বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। জাতীয় দলের হয়ে ঘরের মাঠে প্রথমবার খেলতে যাচ্ছেন তিনি। লক্ষ্য একটাই—জয়। আজ সোমবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে লন্ডন থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় পৌঁছান হামজা চৌধুরী। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ভক্ত ও সাংবাদিকরা। গাড়িতে করে টিম হোটেলের পথে রওনা দেওয়ার সময় জানালার কাচ নামিয়ে সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে আত্মবিশ্বাসের ছাপ রাখেন তিনি—“আমাদের ভালো সুযোগ আছে। দুটো ম্যাচই আমরা জিতব ইনশাল্লাহ।”

দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছিল বাংলাদেশের। বাকি দুই দল পারেনি। শ্রীলংকা পেছনে পড়েছে, পাকিস্তান সিরিজের পর দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও টপকে গেছে টাইগাররা। রেকর্ডটি অবশ্য সুখের কিছু নয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি হার এখন বাংলাদেশের। এই সিরিজ শুরুতেও অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটির দুই নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকা ১০৯ হার নিয়ে তালিকায় যৌথভাবে ছিল। এক ম্যাচ বেশি হেরে শীর্ষ দখলে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান সফরে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় লিটন ব্রিগেড এখন ঐ রেকর্ড একচ্ছত্র মালিক। ১৮৮ ম্যাচ টাইগারদের হার ১১২ ম্যাচে! সবচেয়ে বেশি হারের তালিকায় দুইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২১৬ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের হার ১১০ টি-টোয়েন্টিতে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই তালিকার পরেই শ্রীলঙ্কা। এশিয়ার দেশটি ২০৩ ম্যাচ খেলে হেরেছে ১০৯ ম্যাচে। হারের সেঞ্চুরি পেরোনো তারিকায় পরের দুটিতে পাকিস্তান (১০৫ হার) ও জিম্বাবুয়ে (১০৩ হার)।

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজ উপলক্ষ্যে লাহোরে এক বিশেষ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন ২ দেশের ক্রিকেটাররা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, যিনি দুই দেশের অতীত সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতের জন্য বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন। পাঞ্জাবের গভর্নর সরদার সালিম হায়দার লাহোরের গভর্নর হাউসে আয়োজিত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি এবং দুই দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সামনে রেখেই প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, “ক্রিকেট শুধু খেলা নয়—এটি দুই জাতির মধ্যে সম্পর্ক গড়ার একটি সেতুবন্ধন।”

লাগাতার দুই দিনের বৃষ্টিতে উত্তর-পূর্ব ভারতের ৫টি রাজ্যে ভয়াবহ ভূমিধস ও হঠাৎ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসাম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর ও মিজোরাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসাম প্রদেশের কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলা, বিশেষ করে গুয়াহাটি শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে ভূমিধসে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুয়াহাটিতে একদিনে ১১১ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা শহরের গত ৬৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।