আর্কাইভ
লগইন
হোম
পুষ্টিবিদ
বিশেষ এক সবজির চা: লিভার পরিষ্কার ও সুগার নিয়ন্ত্রণ
আমরা জানি এটা অনেকেরই প্রিয় সবজি হতে পারে না। আর সে কারণেই হয়তো বাজার থেকে কিনেও আনেন না। কিন্তু আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। সেদ্ধ হোক কিংবা ভাজা, শুক্তা হোক কিংবা আচার- রকমারি রেসিপিও আপনার মন কাড়তে পারে না। অপ্রিয় সেই সবজিটি হলো- করলা। এটি জানার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মনেও তিতা হয়ে গেল। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই শীতের সকালে এক কাপ চায়ের মধ্যে করলা মিশিয়ে খেলে কোন উপকার হয়? গরম চায়ে একবার চুমুক দিন। আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমাতে সাহায্য করবে। যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
2025-12-17
সুপারফুডের রাজা হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার যতোসব পুষ্টিগুণ
সুপারফুডের রাজা হিসেবে মিষ্টি কুমড়ার যতোসব পুষ্টিগুণ
2025-11-02
এবারে হ্যালোইনের উৎসব শেষ হলেও পুষ্টিবিদরা সতর্ক করেছেন, এখনো ভেজিটেবল হিসেবে মিষ্টি কুমড়া আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত। শুধু সাজসজ্জার জন্য নয়, বরং এটি শরীরের জন্য এক বিশেষ সুপারফুড। মিষ্টি কুমড়ার উজ্জ্বল কমলা রঙের মাংসের মধ্যে লুকিয়ে আছে প্রচুর পুষ্টি। বিশেষ করে ক্যারোটিনয়েডসমৃদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন। এটি শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে চোখের স্বাস্থ্য, ত্বকের যত্ন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাদ্য প্রদাহ কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের রোগ, ক্যান্সারসহ দীর্ঘমেয়াদী অসুখের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়ক। মিষ্টি কুমড়ায় আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক। এছাড়া এতে থাকে পটাসিয়াম, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী এবং শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে। শুধু ১০০ গ্রাম রান্না করা মিষ্টি কুমড়ায় প্রায় ২ গ্রাম ফাইবার রয়েছে, যা পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং দীর্ঘস্থায়ী তৃপ্তি নিশ্চিত করে। মিষ্টি কুমড়ার প্রাকৃতিক মিষ্টতা এবং ক্রিমি গঠন এটিকে স্যুপ, স্মুদি বা বেকড খাবারে চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সব মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপযোগী নয় হ্যালোইনের জন্য ব্যবহৃত বড় পাম্পকিনগুলো সাধারণত বেশি পানি ও স্বাদহীন হয়। রান্নার জন্য ছোট ও মাংসপূর্ণ প্রজাতি সবচেয়ে উপযুক্ত।
 ডিম সেদ্ধ নাকি ভাজা খাবেন, কীভাবে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ?
ডিম সেদ্ধ নাকি ভাজা খাবেন, কীভাবে খেলে বেশি পুষ্টিগুণ?
2025-09-28
ডিম কমবেশি সবারই প্রিয় খাবার। সেটি একেকজন একেক রকমভাবে খেয়ে থাকেন। কেউ সেদ্ধ, কেউ ভাজা-অমলেট, আবার কেউ পোচ করে খান। যেহেতু ডিম একটি সুপারফুড, সেহেতু এর পুষ্টিগুণ নিয়েই কথা। ডিম প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস। এই প্রোটিন পেশি মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে থাকে এবং শরীরের উন্নতি ঘটায়। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি১২, বায়োটিন, থায়ামিন ও সেলেনিয়াম। ডিমে আছে ৯টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডিমে ভিটামিন ডি, বি১২ ও রাইবোফ্লাবিন থাকে। এই উপাদানগুলো দেহে শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে। ডিমের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের জন্য ভালো উৎস। ডিমের স্বাস্থ্যকর অসম্পৃক্ত চর্বি ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ হাইডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ডিমে রয়েছে লুটেইন, যা ত্বকের আর্দ্রতা ও নমনীয়তা বাড়ায়।