বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচেও হেরেছে। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই। একই ভেন্যুতে গত রোববার (০১ জুন) তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও ৭ উইকেটের হারে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারীরা। সাদা বলের সীমিত ওভারের ক্রিকেটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দলীয় সর্বোচ্চ ১৯৬ রান করেও হারের গ্লানিতে ডুবেছে লিটন কুমার দাসের দল। ম্যাচ শেষে বোলিং বিভাগ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে টাইগার অধিনায়ক বলেন, এখনো শিখতে হবে।

দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে তুমুল লড়াই চলছিল বাংলাদেশের। বাকি দুই দল পারেনি। শ্রীলংকা পেছনে পড়েছে, পাকিস্তান সিরিজের পর দুই বারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও টপকে গেছে টাইগাররা। রেকর্ডটি অবশ্য সুখের কিছু নয়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি হার এখন বাংলাদেশের। এই সিরিজ শুরুতেও অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডটির দুই নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। শ্রীলংকা ১০৯ হার নিয়ে তালিকায় যৌথভাবে ছিল। এক ম্যাচ বেশি হেরে শীর্ষ দখলে রেখেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তান সফরে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় লিটন ব্রিগেড এখন ঐ রেকর্ড একচ্ছত্র মালিক। ১৮৮ ম্যাচ টাইগারদের হার ১১২ ম্যাচে! সবচেয়ে বেশি হারের তালিকায় দুইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২১৬ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের হার ১১০ টি-টোয়েন্টিতে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই তালিকার পরেই শ্রীলঙ্কা। এশিয়ার দেশটি ২০৩ ম্যাচ খেলে হেরেছে ১০৯ ম্যাচে। হারের সেঞ্চুরি পেরোনো তারিকায় পরের দুটিতে পাকিস্তান (১০৫ হার) ও জিম্বাবুয়ে (১০৩ হার)।

পাকিস্তান এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও হারলো বাংলাদেশ। এ ম্যাচ হারার সঙ্গে সঙ্গে সিরিজও খোয়ালো লিটন দাসের বাংলাদেশ দল। গতকাল শুক্রবার (৩০ মে) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ২০১ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় ১৯ ওভারের খেলা শেষে ১৪৪ রানে। এতে ৫৭ রানের জয় পায় পাকিস্তান।