আর্কাইভ
লগইন
হোম
হামাস
হামাসের কড়া হুঁশিয়ারি ইসরাইলকে
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সতর্ক করে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, আর এই অবস্থায় তারা নীরব থাকবে না।  একইসঙ্গে চলমান এই আগ্রাসনের জন্য দখলদার ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে সশস্ত্র সংগঠনটি। সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন বলছে, হামাস নিশ্চিত করেছে যে প্রতিরোধ বাহিনী ইসরাইলকে নতুন কোনো হুমকি চাপিয়ে দিতে দেবে না। সংগঠনটি সতর্ক করে দিয়েছে, সাম্প্রতিক হামলাগুলো গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির মারাত্মক লঙ্ঘন। গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক সরকারি বিবৃতিতে হামাস জানায়, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে শারম আল-শেখে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ভেঙে দিতে চায়। হামাস দখলদার বাহিনীকে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি ও এর পরিণতির জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করে সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন দূর্বল যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধ এবং চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে ইসরাইলকে সামরিক শক্তির মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে না।
4 দিন আগে
ইসরায়েলি দালালীর অভিযোগে গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
ইসরায়েলি দালালীর অভিযোগে গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
2025-10-15
গত দুইবছর যাবৎ যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইসরায়েলকে সহায়তার অভিযোগে গাজায় প্রকাশ্যে ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাফাক জানিয়েছে, গাজা সিটিতে এক ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েনেত জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহে হামাস অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। এর পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, গাজার অস্থায়ী প্রশাসনিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে হামাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পরই ৮ জনকে একসঙ্গে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের খবর আসে। খবর বিবিসির।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ইসরাইল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে ইসরাইল
2025-10-12
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরাইল। ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার (১০ অক্টোবর) থেকে ইসরাইল-গাজা সীমান্তের ‘ইয়েলো লাইন’ ক্রসিং দিয়ে সেনাদের ফিরিয়ে আনা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার পর্যন্ত গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর গাজার সিটির শেজাইয়া, আল তুফাহ এবং জেইতুন এলাকা, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের পূর্বাংশ এবং দক্ষিণাংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকেও সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
গাজা অভিযান সীমিত করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ
গাজা অভিযান সীমিত করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ
2025-10-04
গাজা দখলের অভিযান সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। দেশটির রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত সামরিক রেডিও নেটওয়ার্ক ‘আর্মি রেডিও’ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। আর্মি রেডিওর সামরিক সংবাদদাতা দোরন কাদোশ এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে জানান, সেনাবাহিনীকে গাজায় সব ধরনের অভিযান ‘সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে শুধু ‘প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ নেওয়ার অনুমতি রয়েছে সেনাদের। তিনি আরও জানান, এর অর্থ হচ্ছে—গাজা সিটি দখলের অভিযান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের প্রস্তুতির অংশ। এই নির্দেশনার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার রাতে সেনাপ্রধান জেনারেল এয়াল জামির শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বিশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা করেছেন। সেখানে তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী ‘জিম্মিদের মুক্তি ও ট্রাম্প পরিকল্পনার প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে প্রস্তুতি জোরদারের নির্দেশ’ দেন।