গাজা উপত্যকায় গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলায় অন্তত ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৭৮ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন, যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই নিহত হয়েছেন ৫৩ জন। গতকাল সোমবার (২৬ মে) ভোরের পূর্বে থেকে চালানো হামলায় তাদের প্রাণ যায়। হাসপাতাল সূত্র আল জাজিরাকে এসব তথ্য জানায়। আল জাজিরার ওয়াশিংটন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গাজা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাস সম্মতি দিয়েছে—এমন খবরে হামাস ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একেবারে ভিন্ন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, গাজায় সবাই কষ্টে আছেন। কারণ হাসপাতালগুলোতে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রীর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না, অনেকেরই আঘাত ভয়াবহ ধরনের। ইসরায়েল ত্রাণ-সামগ্রী আটকে রেখেছে এবং হামলা আরও বাড়িয়েছে।

গাজার উত্তর দিকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় অন্ত:ত অর্ধ-শতাধিক লোকের প্রাণ গেছে। ফিলিস্তিনি বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, গাজা সিটিতে বাস্তুচ্যুত লোকেদের আশ্রয় শিবির হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুলে ও জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে হামলা হয়েছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, গাজা সিটির দরাজ এলাকার ফাহমি আল-জারজাবি স্কুলে মাঝরাতে চালানো এক হামলায় অন্ত:ত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ঐ স্কুলে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন। নিহতদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। এছাড়া ঐ হামলায় আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।