আর্কাইভ
লগইন
হোম
হত্যা
নবাবগঞ্জ উপজেলায় প্রবাসীকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা, স্ত্রী গ্রেফতার
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় এক প্রবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (০৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। নিহতের নাম জুয়েল (৩৫)। তিনি নয়ানগর গ্রামের মৃত আজহার ও লায়লার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা জুয়েল সম্প্রতি দেশে ফেরেন। দেশে ফেরার পর থেকেই তার স্ত্রী ঝুমা বেগম (২৫)–এর সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। গত শনিবার (০৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সেই পারিবারিক বিরোধের জেরে ঝুমা বেগম ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন সহযোগী মিলে পরিকল্পিতভাবে জুয়েলকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে হত্যার আলামত গোপন করতে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবেশীরা ধোঁয়া ও আগুনের গন্ধ পেয়ে চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে এবং নবাবগঞ্জ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে। সংবাদ পেয়ে প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী ঝুমা বেগমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
2 দিন আগে
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ছেলের হাতে মা খুন!
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ছেলের হাতে মা খুন!
2025-09-11
আর্থিক অভাব অনটন ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে নিজ ছেলের হাতে প্রাণ হারালেন বৃদ্ধ মা। মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার চক মিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে গত মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতের নাম করুনা রানী ভদ্র (৬২)। অভিযুক্ত তারই ছেলে রবি চন্দ্র ভদ্র (৪২)। স্থানীয় মানুষ ও থানা পুলিশ সুত্র জানা যায়, গতকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মা-ছেলের মধ্যে আর্থিক টানাপোড়েন নিয়ে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ছেলে রবি চন্দ্র ভদ্র। হাতে থাকা ধারালো বটি দিয়ে বসতঘরের ভেতরেই মায়ের গলায় কোপ দেন তিনি। মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন করুনা রানী। পরিবারের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মায়ের বুক চিরে বেরিয়ে যায় শেষ নিঃশ্বাস। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে পালিয়ে যায়। নিহত করুনা রানী ভদ্র মৃত ফটিক চন্দ্র ভদ্রের স্ত্রী। পরিবারে দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক টানাপোড়েন চলছিল। ছেলে রবির সঙ্গে মায়ের প্রায়ই ঝগড়া হতো। সেই দ্বন্দ্বই কাল হয়ে দাড়াল মায়ের জন্য।