মিসর ও কাতারের দেওয়া নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস। তবে ইসরায়েল বলেছে, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে। কয়েকদিন আগেই নাজুক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল গাজায় আকস্মিক হামলা শুরু করে। মিসর যুদ্ধবিরতি পুনরায় কার্যকর করতে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব অনুমোদনের কথা জানান গাজার বাইরে হামাস নেতা খলিল আল-হাইয়া। তবে এর পূর্বে প্রস্তাবে কোনো পরিবর্তন আনা হয়েছে কি না, সেই সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, হামাস গাজা থেকে ৫ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে, যার মধ্যে একজন মার্কিন-ইসরায়েলি নাগরিকও থাকবেন। বিনিময়ে ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেবে এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধবিরতি দেবে। এরসঙ্গে ইসরায়েল কয়েক’শ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে।

দিন যতই যাচ্ছে ইসরাইলের আগ্রাসনের মাত্রা ততই তীব্রতর হচ্ছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষে পুনরায় যুদ্ধ শুরুর পর ইসরাইলের টার্গেট এবার উত্তর গাজা দিকে। অবরুদ্ধ গাজার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোকে ফাঁকা করছে তারা। প্রায় এক লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক বসতভিটা ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এ ছাড়াও জাবালিয়া এলাকাটি দ্রুত খালি না করলে হামলা করা হবে বলেও ‘চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) আলজাজিরার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

গাজায় নতুন করে হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ও বুধবার (১৯ মার্চ) এ দুই দিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর ফ্রান্স২৪.কমের।