আর্কাইভ
লগইন
হোম
গাজা
রহস্যময় ফ্লাইটে কয়েক শ ফিলিস্তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায়, নেপথ্যে কারা?
ইসরাইল যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা থেকে বের হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া এক সংগঠনের বন্দোবস্তে দক্ষিণ আফ্রিকাগামী ফ্লাইটের প্রতিটি আসনের জন্য ১,৬০০ ডলার করে দিতে হবে। অর্থ দিতে হবে আগাম, পাঠাতে হবে একটি ক্রিপ্টো অ্যাকাউন্টে। কয়েক মাস আগে গাজার আহমেদ শেহাদাকে এক ব্যক্তি ফোন করেন। ফোনে ঐ ব্যক্তি বলেন, তিনি একটি মানবাধিকার সংগঠনে কাজ করেন। তিনি আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিমানে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে পারবেন। শেহাদা প্রথমে বিশ্বাস করেননি, ধরেই নেন এটা একটি প্রতারণা। তিনি নিষেধ করে দেন। কিন্তু পরে খোঁজখবর নিয়ে এক ফিলিস্তিনি বন্ধুর কাছে জানতে পারেন, ঐ বন্ধুও এই দলের মাধ্যমে গাজার বাইরে পালিয়ে গেছেন। ৩৭ বছর বয়সি শেহাদা সিদ্ধান্ত নেন তিনিও সুযোগ নেবেন। শেহাদা অর্থ পাঠান। তারপর শুরু হয় চরম উদ্বেগ ও ভীতিকর এক যাত্রা। প্রথমে শেহাদা, তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে দুটি আলাদা আলাদা বাসে ২৪ ঘণ্টা ভ্রমণ করতে হয়। সে ভ্রমণ পথে যে কোনো সময় ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে নিহত হওয়ার ভয় ছিল। ভীতসন্ত্রস্ত বাস ভ্রমণ শেষ শেহাদারা চরম উদ্বেগ নিয়ে ইসরাইলি চেকপোস্ট পার হন এবং সেখান থেকে গন্তব্য অজানা এক ফ্লাইটে চেপে বসেন। নানা ঘাট ঘুরে শেষ পর্যন্ত শেহাদারা পৌঁছান দক্ষিণ আফ্রিকায়। এটি এমন একটি দেশ, যেখানে শেহাদারা কখনো যাননি।
15 ঘন্টা আগে
হামাসের কড়া হুঁশিয়ারি ইসরাইলকে
হামাসের কড়া হুঁশিয়ারি ইসরাইলকে
2025-10-30
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সতর্ক করে বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, আর এই অবস্থায় তারা নীরব থাকবে না।  একইসঙ্গে চলমান এই আগ্রাসনের জন্য দখলদার ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে সশস্ত্র সংগঠনটি। সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন বলছে, হামাস নিশ্চিত করেছে যে প্রতিরোধ বাহিনী ইসরাইলকে নতুন কোনো হুমকি চাপিয়ে দিতে দেবে না। সংগঠনটি সতর্ক করে দিয়েছে, সাম্প্রতিক হামলাগুলো গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির মারাত্মক লঙ্ঘন। গতকাল বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক সরকারি বিবৃতিতে হামাস জানায়, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান আগ্রাসন স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তত্ত্বাবধানে শারম আল-শেখে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে ভেঙে দিতে চায়। হামাস দখলদার বাহিনীকে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি ও এর পরিণতির জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করে সতর্ক করে বলেছে, ইসরাইলের অব্যাহত আগ্রাসন দূর্বল যুদ্ধবিরতি চুক্তিটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ঐক্যবদ্ধ এবং চুক্তির শর্তাবলীর প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে ইসরাইলকে সামরিক শক্তির মাধ্যমে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হবে না।
গাজায় আবার ইসরাইলের বিমান হামলা-গুলিবর্ষণ, যুদ্ধবিরতি চুক্তি হুমকিতে
গাজায় আবার ইসরাইলের বিমান হামলা-গুলিবর্ষণ, যুদ্ধবিরতি চুক্তি হুমকিতে
2025-10-21
অবরুদ্ধ গাজায় আবারও বিমান হামলা ও গুলিবর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন।  যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরাইলের এই আগ্রাসন এর নিয়ে নতুন করে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলের আল-শাআফ এলাকায় ২টি আলাদা হামলার ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ঐ ব্যক্তিরা নিজেদের বাড়িঘর দেখতে ফিরে আসার দখলদার বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায়। তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা কিছু যোদ্ধার দিকে গুলি চালিয়েছে যারা ‘হলুদ সীমারেখা’ অতিক্রম করে শুজাইয়ার দিকে এগিয়ে আসছিল এবং তাদের জন্য ‘হুমকি তৈরি করেছিল’।