১৭ ডিসেম্বর বিজয়ের স্বাদ পেয়েছিল রাঙামাটির মানুষ
সেই ১৯৭১ সালে সারাদেশের মতো রাঙামাটিতে যুদ্ধের দামামা বেজেছিল। সেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পার্বত্যবাসী।
২৭ মার্চ রাঙামাটি স্টেশন ক্লাবের মাঠে মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী ট্রেনিং ক্যাম্প খোলা হয়। তৎকালীন পার্বত্যাঞ্চলের জেলা প্রশাসক হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ, পুলিশ সুপার বজলুর রহমান এবং মহকুমা প্রশাসক আবদুল আলীসহ স্বাধীনতাকামী মানুষ এগিয়ে আসেন।
২৯ মার্চ রাঙামাটি থেকে ৬০ জনের একটি দল প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ভারতে রওনা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রসদ সরবরাহ, যানবাহনের জন্য রাঙামাটি আলম ডকইয়ার্ডে গড়ে উঠল মুক্তি বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প। এখানে স্থাপন করা হল ওয়ারলেস সেন্টার।
রাঙামাটি থেকে ভারতে যাওয়া প্রথম মুক্তিযোদ্ধা দলটি এক সপ্তাহের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাপ্টেন আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে ৩টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১৫ এপ্রিল রাঙামাটি আসে। কিন্তু স্থানীয় লোকদের বিশ্বাসঘাতকার কারণে প্রথম দলটি রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের বাংলো এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে নিহত হয়।