আসন্ন ঈদুল আজহার জন্য কোরবানির হাট কাপাঁছে ‘সম্রাট’। সাদা-কালো ছিট রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৯ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট। ওজন ৩২ মণ। ষাঁড়টি বাড়ি থেকে বের করতে ৪-৫ জন মানুকে সামলাতে হয়। হাটে আনা-নেয়া করা কষ্টকর। তাই বাড়ি থেকেই সম্রাটকে বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। তার স্বভাব শান্ত প্রকৃতির হলেও মাঝেমধ্যে চড়াও হয়ে ওঠে। বিশাল আকৃতির হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন ওই বাড়িতে।
ষাঁড়টির মালিক জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউপির জোত সাতনালা গ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার মো. আনিসুল হক আশা করছেন সম্রাটকে ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন।
দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবারে নিজ বাড়িতে লালন-পালন করছেন জোত সাতনালা গ্রামের ডাঙ্গাপাড়ার মো. আনিসুল হক। প্রায় সাড়ে ৩বছর পূর্বে নিজের খামারে ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী থেকে জন্ম নেয় সম্রাট।হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টিকে লালন-পালন করে নাম রেখেছেন সম্রাট।
সম্রাটের মালিক আনিসুল হক জানান, জন্মের পর থেকেই সম্রাটকে দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে খড়, ঘাস, ছোলা, মসুরের ডাল ও ভুষি, ভুট্টার আটা, চোপড়,খুদের ভাত,খৈল, ধানের গুঁড়া ও চিটাগুড় ইত্যাদি। প্রতিদিন সম্রাটের খাদ্য তালিকায় খরচ হয় অন্তত ৮০০-৯০০টাকা।সম্রাটের থাকার স্থানে ২৪ঘন্টায় ২টি ইলেকট্রিক ফ্যান রয়েছে।প্রতিদিন ৩-৪বার গোসল করাতে হয়। যেদিন বিদ্যুৎ থাকে না সেদিন ঘন ঘন গোসল করাতে হয়। বর্তমান সম্রাটের ওজন ৩২মণ। এতো বড় গরুর ক্রেতা সংকটে ভুগলেও ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসে সম্রাটের দাম করছেন। মনমতো দাম না হওয়ায় অপেক্ষায় আছেন তিনি। বিক্রির কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, সম্রাটকে খাবার দিতে প্রতিদিনে যা খরচ হয়, তা আমার সাধ্যে কুলাচ্ছে না। তার দাবি, এপর্যন্ত সম্রাটকে লালন-পালন করতে অন্তত ৫-৬লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
এদিকে, সম্রাটের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. রায়হান।তিনি বলেন,এটি পশুসম্পদ অধিদপ্তরের ৭২৬নম্বর প্রুভেন বুল সিমেনের হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ষাঁড়ের মালিক আনিসুল হক বিভিন্ন সময় চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ নিয়ে থাকেন।