ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীরা ২ দিন ছুটি নিলেই টানা ৯ দিনের ছুটি কাটাতে পারবেন। এক্ষেত্রে কায়দা করে ১৯ ও ২০ জুন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে হবে। তাহলে তার ছুটি গিয়ে দাঁড়াবে ৯ দিনে। ফলে ২১ ও ২২ জুন পর্যন্ত প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে ঈদের ৩ দিনের মূল ছুটির আগের ২ দিনই চলে যাবে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবারের মধ্যে।
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার ওপর পবিত্র ঈদুল আজহার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সৌদি আরবে ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ায় দেশটিতে ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী রোববার (১৬ জুন)।
শুক্রবার (৭ জুন) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এদিন চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
বাংলাদেশে সাধারণত সউদি আরব, কাতার, ওমান ও আরব আমিরাতে ঈদ উদযাপনের পরদিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। এই হিসেবে আগামী ১৭ জুন (সোমবার) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে— এ হিসেব ধরেই সরকারি ছুটির তালিকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, কোরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ১৬ জুন (রোববার) থেকে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসেবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তার সঙ্গে কেউ যদি ১৯ ও ২০ জুন ছুটি নিতে পারেন তবে ২১ ও ২২ জুনসহ ঈদে তিনি টানা ৯ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঈদুল আজহার দিন সাধারণ ছুটি থাকে। আর ঈদের আগের ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ভোগ করে থাকেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।