ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু সাদিক কায়েম তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে লিখেছেন, একের পর এক কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টি করে ভারত পানি সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। এর উদ্দেশ্য একটাই বাংলাদেশের মানুষকে বিপ্লবের জন্য শাস্তি দেওয়া।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সাদিক কায়েম তার ফেসবুক আইডিতে এই পোস্ট দেন। ফেসবুক পোস্টে সাদিক কায়েম লিখেন, ফ্যাসিবাদ-উত্তর সময়ে রাষ্ট্রের ওপর যেন আছড়ে পড়ছে একের পর এক চ্যালেঞ্জ। অভ্যন্তরীণ গোলযোগ সৃষ্টি করে ইনকিলাবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে, ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে বিপ্লবীরা প্রতারণা করেছে কিনা এমন সওয়ালের দুঃসাহসও দেখাচ্ছে পরাজিত শক্তি। অন্যদিকে আমাদের কলোনিয়াল মাস্টার হতে চাওয়া শক্তি পানিসন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে।
একের পর এক কৃত্রিম বন্যা সৃষ্টি করে এদেশে আবারও ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে মনে করেন সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেশের উত্তরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। উদ্দেশ্য একটাই- মানুষকে বিপ্লবের জন্য শাস্তি দেওয়া আর তাদের বোঝানো যে ফ্যাসিবাদেই তারা ভালো ছিল।
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুর্যোগকালীন সময়ে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে জাতীয় স্বার্থে এগিয়ে আসতে হবে। সহস্র শহীদের পবিত্র রক্তে ধোয়া নয়া বাংলাদেশের যেই ইমারত আমরা স্থাপন করেছি, তা আগ্রাসনের পানিতে ভেসে যেতে দিবো না, ইনশাআল্লাহ।
সাদিক কায়েম লিখেন, সামষ্টিক নিবেদিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ইতোপূর্বে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় হাতে হাত রেখে কাজ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। এবারও দেশের প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াবো আমরা, ঐক্যবদ্ধ জাতীয় চেতনার প্রেরণায়। কোন ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করে আমাদেরকে বোঝানো যাবে না ফ্যাসিবাদেই ভাল ছিলাম। আমরা যেকোন মূল্যে আজাদী চেয়েছি, যেকোন মূল্যে আজাদী হেফাজত করবো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে কিংবা পানির তোড়ে ভাসিয়ে দিয়ে আমাদেরকে পতিত ফ্যাসিস্টদের প্রতি সহানুভূতিশীল করে তোলা যাবে না।