২০১৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের সময় প্রথম দেখা হয়েছিল বিরাট-আনুশকার। সেখানেই প্রেম শুরু। সম্পর্কের কথা কোনও দিনই গোপন করেননি দুই তারকা। ২০১৪-এ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতীয় ক্রিকেট টিম মুম্বাই ফেরার পরই বিরাট সোজা গিয়েছিলেন আনুশকার বাড়িতে, তার সঙ্গে দেখা করতে। আনুশকার ভারতীয় দলের নিউজিল্যান্ড সফরের সময় বিরাটের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছিলেন। দু’জনকে একসঙ্গে আইএসএল চলাকালীন গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল। বিরাটের দল এফসি গোয়ার জন্য একসঙ্গে গলা ফাটিয়েছেন। সেই সময় যেখানেই যেতেন বিরাট, সঙ্গে দেখা যেত আনুশকাকে। এ কারণে অনেকেরই চক্ষুশূল হতে হয় অভিনেত্রীকে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ১ রান করেন বিরাট। সেই সময় ক্রমাগত সমাজমাধ্যমে হেনস্থা হতে হয় আনুশকাকে। গোটা বিষয়টা থিতিয়ে যেতেই পাল্টা উত্তর দেন অভিনেত্রীও।
তবে বলিপাড়ার অন্দরের কানাঘুষো ক্রমাগত সমালোচনার মুখে পড়ে নাকি সম্পর্ক ছেদের সিদ্ধান্তও এক সময় নিয়েছিলেন আনুশকা। সেই সময় তিনি ব্যস্ত ছিলেন সলমন খানের সঙ্গে ‘সুলতান’ ছবির শুটিং-এ। সালমানেই নাকি ফের কাছাকাছি এনে দেন তাদের।
শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে ইতালিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বিরাট-আনুশকা। তার আগে এক সাক্ষাৎকারে অনুশকা জানান, তাকে গালমন্দ করে লাভ নেই। অভিনেত্রীর কথায়, “এরা সকলেই পেশাদার। ছোট বয়স থেকে ক্রিকেট খেলছেন। ক্রিকেটই জীবন। যারা বলছেন, আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট তারকা নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন নন, তাদের বলি নিজের চরকায় তেল দিন।’’ বরাবরই ঠোঁট কাটা আনুশকা। তবে সে সব সময় অতিক্রম করে এখন স্বামী-স্ত্রী ছাড়া ভামিকা ও অকায়ের অভিভাবক তারা। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে লন্ডনেই সংসার পেতেছেন চর্চিত দম্পতি।