নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভোট যদি হয়, হয়তো আপনারাই (বিএনপি) জিতবেন, কিন্তু আজ যে আন্দোলন হয়েছে সেটা শুধুমাত্র ভোটের জন্য হয়নি। এ আন্দোলন হয়েছে মানুষের গণতান্ত্রিক, ভোটের অধিকার, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার মতো একটা পরিবেশ তৈরির জন্য। এই লড়াইয়ে যদি একাত্ম হয়ে আসতে পারেন, তাহলেই হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মান্না।
সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বিলকিস ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় মাহমুদুর মান্না বলেন, শুধু স্বৈরাচার সরকার উৎখাতে লড়াই করিনি। আমরা সরকার ও দেশ বদলাবার লড়াই করছি। আমরা সরকার ও প্রশাসন বদলাবার লড়াই করছি। সরকার বদলেছে, এখন পরের কাজটা করতে হবে। যুবসমাজ, ছাত্রসমাজ আমরা সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি। আইজিপি বদলে নতুন আইজিপি এসেছে এটাকে সংস্কার বলবেন? ডিআইজির বদলে ডিআইজি, আর্মির চিফ বদলে নতুন আর্মি চিফ এলে এটাকে সংস্কার বলবেন? এগুলো সংস্কার নয়। আমি গুণগত সংস্কার চাই। সেই রকম একটা প্রশাসন চাই, সেই রকম একটা দেশ চাই।
সভায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে একটা নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে তুমুল আন্দোলনের মধ্যদিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারকে শুধু পতনই করে নাই, এক্কেবারে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এই আন্দোলন হয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে একটি নতুন প্রেক্ষাপট দেওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমাদেরই, দেশবাসীর। এই সরকার আগামী দিনের একটি ভালো নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব পালন করবে। দেশের জনগণ এটাই প্রত্যাশা করে।