২০-২৫ জন নারী একত্রিত হন। ড্রাম-থালা বাজাতে বাজাতে ভোটকেন্দ্রে যান। গানও গাইবেন। আমরা যদি প্রত্যেকটা ভোটকেন্দ্রে এরকম ৮-১০টা মিছিল করতে পারি, তা হলেই ভোটের হার বেড়ে যাবে।
কথাগুলো বলছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গতকাল নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে এসব কথা বলেন মোদি।
এর আগে করোনা মহামারির সময়ে বাড়িতে বাড়িতে থালাবাসন বাজানোর এমনই আহ্বান জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের হার কমতে থাকায় দৃশ্যতই চিন্তিত মোদি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, আত্মতুষ্টির জেরে বিজেপি কর্মীদের অনেকে নিষ্ক্রিয়। ফলে ভোটাররা ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত যাচ্ছেন না। তাতেই চাপ বাড়ছে বিজেপি নেতৃত্বের।
নারীদের ক্ষমতায়নে সরকার কী কী করেছে তার খতিয়ানও নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেন মোদি। কংগ্রেস সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, গত দশ বছরে এই প্রথম সরকারের নীতি এবং সিদ্ধান্তের একেবারে সামনে জায়গা করে নিয়েছেন নারীরা। আপনারাই বলুন, যখন নারী ছাড়া কোনো সংসারই চলে না, তখন আপনাদের ছাড়া একটা সরকারই বা চলবে কী ভাবে? গত ষাট বছরে এই সহজ কথাটাই সরকারগুলো বোঝেনি। কংগ্রেস-এসপি সরকারেরা কী দিয়েছে নারীদের? শুধু অবহেলা আর নিরাপত্তাহীনতা।
তিনি আরও বলেন, ইন্ডিয়া জোটের মানসিকতা বরাবরই নারীবিরোধী। এই জোটের শরিকরা সংসদে নারী আসন সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছিল। যখনই এদের সরকার এসেছে, নারীদের জীবন কঠিন হয়েছে। বারাণসীর মানুষ তো জানেনই, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের জঙ্গল-রাজের কথা। আমাদের মা-বোনদের ঘরের বাইরে পা ফেলা মুশকিল ছিল। আমাদের কন্যাদের লেখাপড়া ছেড়ে বাড়িতে আটকে থাকতে হতো নিরাপত্তার অভাবে।