ইসলামিক বা শরিয়াহভিত্তিক শাখায় রক্ষিত সাধারণ হিসাবের অর্থ কনভেনশনাল (সাধারণ বা শরীয়াহ ভিত্তিক নয়) ব্যাংকিং কার্যক্রমে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও উইন্ডোর গ্রাহকদের কনভেনশনাল শাখা ও উপশাখাগুলোর অনলাইনে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা কীভাবে দেবে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। গাইডলাইন্স ফর কনডাক্টিং ইসলামিক ব্যাংকিং গাইডলাইন্সে ইসলামিক ব্যাংক এবং কনভেনশনাল ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং শাখার মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম অধিকতর সম্প্রসারণ ও গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা, উইন্ডোর গ্রাহকদের কনভেনশনাল শাখা ও উপশাখাগুলোতে বেশ কিছু শর্তে অনলাইনে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
শর্তগুলো হলো- গ্রাহকদের ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানে শাখা ও উপশাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং হেল্প ডেস্ক থাকতে হবে। ইসলামিক ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাকে ইসলামিক ব্যাংকিং ডেস্কে পদায়ন করতে হবে। ইসলামিক ব্যাংকিং ডেস্কের মাধ্যমে শুধু ব্যাংকের অনুমোদিত ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা বা উইন্ডোর গ্রাহকদের অনলাইনভিত্তিক আর্থিক লেনদেন তথা গ্রাহক হিসাবে অর্থ জমা, উত্তোলন ও স্থানান্তর সুবিধা দেওয়া যাবে। ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পৃথক ‘ইসলামিক কোর ব্যাংকিং’ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। ইসলামিক ব্যাংকিং লেনদেন ইসলামিক ব্যাংকিং শাখায় রক্ষিত সাধারণ হিসাবের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। ইসলামিক ব্যাংকিং শাখায় রক্ষিত সাধারণ হিসাবের অর্থ কনভেনশনাল ব্যাংকিং কার্যক্রমে ব্যবহার করা যাবে না। গ্রাহক হিসাব খোলা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম ইসলামিক ব্যাংকিং ডেস্কের মাধ্যমে সম্পাদন করা যাবে না। ইসলামিক ব্যাংকিং ডেস্কের মাধ্যমে অনলাইনে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শাখাসমূহের দর্শনীয় স্থানে ‘অনলাইন ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়’ মর্মে বিজ্ঞপ্তি,ব্যানার, প্লেকার্ড, ফেস্টুন প্রদর্শন করতে হবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।