বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে টাইব্রেকারে ইকুয়েডরকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। ভীষণ প্রয়োজনের সময় আরও একবার বীরত্ব দেখিয়েছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তার টানা দুই সেভে ভর করেই টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা।
কোয়ার্টার ফাইনালের মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র থাকার পর লড়াই গড়ায় টাইব্রেকারে। ম্যাচটা আর্জেন্টিনা শেষ করতে পারত ৯০ মিনিটেই। কিন্তু যোগ করা সময়ে গোল হজম করে বসে তারা। পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ভুগতে হয়েছিল ইকুয়েডরের ঝটিকা আক্রমণের সামনে। প্রথমার্ধে একাধিকবার দল বিপদের মাঝে পড়লেও লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে স্বস্তির এক লিড পেয়ে যায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষে এসে গোল হজম করতেই হলো আলবিসেলেস্তেদের।
লিওনেল স্কালোনির দল হোঁচট খেলেও শেষ পর্যন্ত ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা হয়েছে মার্টিনেজের বীরত্বে। টাইব্রেকারে লিওনেল মেসির শট মিস হওয়ার পর যে চাপ ছিল, সেটি একাই সামলেছে তার বিশ্বস্ত হাত। শ্যুটআউটে চারটি শট নিয়েছে ইকুয়েডর, প্রথম দুটিই রুখে দেন বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক।
ম্যাচ শেষে মার্টিনেজ বলেন, ‘আমি ওদের (সতীর্থ) বলেছি, বাড়ি ফিরতে তৈরি না। যদিও আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও কোপা আমেরিকা জিতেছি, তবুও এই দলটার আরও বেশি প্রাপ্য। ৩৫ দিন হয়ে গেছে আমরা একসঙ্গে আছি সবাই, আর ব্যাপারটা আবেগের।’
আজকের ম্যাচ সহ এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো মার্টিনেজ টাইব্রেকারের মুখোমুখি হয়েছেন আর্জেন্টিনার হয়ে। প্রতিবারই দেশকে জিতিয়েছেন। বারবার এভাবে পেনাল্টি ঠেকানোর রহস্য কী? মার্টিনেজ জানিয়েছেন এর পেছনের অধ্যবসায়ের কথা।
তিনি বলেন, ‘আমি এটার জন্য কাজ করি, প্রতিদিন ৫০০টা শট ট্রেনিং করি। সবসময় নিজেকে ভালো অবস্থায় রাখি আর চেষ্টা করি দলকে যেন সেরাটা দিতে পারি। এই দেশ এমন কিছু প্রাপ্য, যারা টাকা খরচ করে আমাদের দেখতে এসেছে তারাও। আমি গর্বিত, গোলরক্ষক ও মানুষ হিসেবে আরও উন্নতি করতে চাই।’