ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো ‘শত্রুতাপূর্ণ পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। তিনি আরও বলেছেন, আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে এসব পদক্ষেপ সহায়ক হবে না।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার বরাতে তেহরান থেকে এএফপি জানায়, বুধবার (১৬ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জর্দানের রাজধানী আম্মানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সোমবার, ২৭-সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন স্থানান্তরে অংশ নেওয়ার অভিযোগ এনে এয়ারলাইন্সসহ বিশিষ্ট ইরানি কর্মকর্তা ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
তেহরান বরবারই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পয়লা অক্টোবর ইসরাইলের ওপর তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরানের তেলশিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারিত করেছে।
ইরান বলেছে, এই অঞ্চলে তেহরানের জোটভুক্ত নেতাদের এবং তার বিপ্লবী গার্ডের একজন জেনারেলকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে। লেবানন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী এই জড়িয়ে পড়তে আকৃষ্ট হয়েছে।
২০২৪ সালে ইরান ও বিশ্বশক্তির মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি যুগান্তকারী পারমাণবিক চুক্তি থেকে ওয়াশিংটন নিজেকে একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ইরান ইতোমধ্যে কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে সংকট মোকাবেলা করছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান গত জুলাইয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার ওপর অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
বুধবার আরাগচি বলেন, পারমাণবিক ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনার তথাকথিত মাস্কাট প্রক্রিয়া ‘আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।’
ওমান দীর্ঘদিন ধরে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে। দেশটি ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
আরাগচি বলেন, তবে, অন্যান্য বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মতবিনিময় ‘এখনও চলমান’ রয়েছে।