গেল সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফরের মাঝপথে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। জানিয়েছিলেন, বিদায়ী টেস্টটা খেলতে চান দেশের মাটিতে। তার সেই ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে। কেটে গেছে সব শঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘোষিত প্রথম টেস্টের দলে আছেন তিনি।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য ১৫ দলের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি।
সাকিবকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে হান্নান বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমরা যখন গ্রিন সিগন্যাল পেলাম, সাকিব ইজ অ্যাভেইলেবল ফর সিলেকশন। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সাকিবকে সিলেক্ট করেছি।’
দল ঘোষণার পর নির্বাচক হান্নান সরকার বললেন সাকিবের ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে আনন্দের কথা, ‘আমরা সবাই জানি, এটা একটা সরকারি ইস্যু ছিল, বিসিবির ইস্যু ছিল। ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমরা যখন গ্রিন সিগন্যাল পেলাম, সাকিবকে দলে রাখা যাবে, স্বাভাবিকভাবেই আমরা তাকে দলে রেখেছি। এটা আমাদের জন্য একটা বিশাল আনন্দের ব্যাপার যে আমাদের এ রকম একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়, সে মিরপুর থেকে, যেটাকে আমরা আমাদের হোম অব ক্রিকেট বলি, সেখান থেকে বিদায় নিচ্ছে। এটা শুধু সাকিবের জন্যই নয়, বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের সবার জন্যই পাওয়া।’
হান্নানের আশা, বিদায়ী ম্যাচটা সাকিব দারুণভাবে রাঙিয়ে যাবেন, ‘আশা করছি, এই ম্যাচটা আমাদের জন্য স্মরণীয় এক ম্যাচ হয়ে থাকবে। যে ম্যাচে সাকিব নিজের ভালো পারফরম্যান্সের পাশাপাশি দলের ভালো কিছুতে ভূমিকা রাখবে। আমি মনে করি, এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য একটা বড় প্রাপ্তি হতে যাচ্ছে যে এই ধরনের লেজেন্ড খেলোয়াড় ঘরের মাঠ থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে।’
সর্বশেষ খেলা ভারত সিরিজের স্কোয়াড থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে একটিমাত্র বদল এনেছেন নির্বাচকরা। খালেদ আহমেদকে বাদ দিয়ে বাকিদের রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন তারা।
দল নিয়ে হান্নান বলেন, ‘যেহেতু আমরা হোম সিরিজ খেলছি, সেখানে স্কোয়াডটা ছোট করে ১৫ জনে করা হয়েছে। হোম অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার চেষ্টা সব দলই করে থাকে, সেটা আমরাও হয়তো মাথায় রেখেছি। সে জায়গা থেকে একজন পেসার কমিয়ে তিন জন নিয়ে স্কোয়াড সাজানোর চেষ্টা করেছি, ৮ জন ব্যাটার আছে, দুজন অলরাউন্ডার, দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার আছে।’
দলটাকে ভারসাম্যপূর্ণ বলেছেন হান্নান, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় যথেষ্ট ব্যালেন্সড একটা দল। ক্যাপ্টেন, কোচের হাতে অপশন আছে। তারা যেভাবে দলটা সাজানোর চেষ্টা করে, বিকল্পটা দিয়েই দল সাজানোর চেষ্টা করেছি। এই দলে যে নেই, খালেদ, সে এনসিএল খেলবে।’
ভারত সিরিজের ব্যর্থতা কাটিয়ে ঘরের মাঠে এই সিরিজে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলেই বিশ্বাস সাবেক এই ক্রিকেটারের, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা খুবই ভালো রেজাল্ট করেছিলাম। তারপরে ভারতের সঙ্গে সেখানে আশানুরূপ রেজাল্ট করতে পারি নাই। অবশ্যই আমাদের এই সিরিজটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ক্ষেত্রে এই সিরিজটার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে কীভাবে ফেস করবো। আশা করছি যে আমরা যেভাবে চিন্তা ভাবনা করেছি বা পরিকল্পনা করেছি; ওই অনুযায়ী খেলোয়াড়রা খেলতে পারবে। আশা করছি এই সিরিজে প্রত্যাশিত ফল পাবো।’