বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নস্যাৎ করতে গত ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও। মঞ্চে শিল্পীদের অভিনয় দক্ষতা, নাচের ছন্দময়তা, সুরের মূর্ছনা ও আলোর ঝলকানি থেকে বঞ্চিত ছিল দর্শক শ্রোতারা।অপেক্ষায় থাকা অনেকের মনেই প্রশ্ন ছিল, আবার কবে শিল্পকলা একাডেমি খুলবে, মঞ্চের আলোয় সংস্কৃতির সুধায় আবার কবে আলোকিত হবে সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর খ্যাত শিল্পকলা একাডেমি।
অবশেষে অপেক্ষা শেষ হয়ে ৮৩ দিন পর ফের মঞ্চের আলো ও শিল্পীদের অভিনয়ে শিল্পের স্রোতধারা প্রবাহিত হলো শিল্পানুরাগী দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে।
শীর্ষস্থানীয় নাটক দল বাংলাদেশ থিয়েটারের প্রযোজনায় হাস্যরসাত্মক নাটক ‘সি-মোরগ’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে শুক্রবার দ্বার খুলল শিল্পকলা একাডেমির।
এ দিন সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে নাটকের আঙিনা। আসাদুল্লাহ ফারাজী রচিত নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন হুমায়ুন কবীর হিমু।
এক জোতদার বজল শিকদার তার কুড়িয়ে পাওয়া মোরগের নামকরণ করে রূপকথার গল্পের শক্তিশালী ‘সি-মোরগ’-এর নামে। কারণ রূপকথার গল্পের সি-মোরগ আলমাস কুমারকে সাত সাগর তেরো নদী পাড়ি দিয়ে নিয়ে যায় স্বপ্নের দেশ গুলবাহার পরীর দেশে। আর এ মোরগ পাওয়ার পর থেকে শিকদার মনে করে সে যা কিছুতেই হাত দেয় তা সোনা হয়ে ওঠে।
কুসংস্কারাচ্ছন্ন, লোভী ও জোতদার শিকদার মনে করে কুড়িয়ে পাওয়া মোরগটি তার ভাগ্যের দুয়ার খুলে দিয়েছে; যার কারণে সে মোরগটিকে গভীরভাবে ভালোবাসে। মোরগটির লালন-পালনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। এ নিয়ে তার তিন স্ত্রীর সঙ্গেই নানা ধরনের সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এভাবেই এগিয়ে যায় কমেডিনির্ভর নাটকটির কাহিনি।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন খন্দকার শাহ আলম, ফারজানা ফাতেমা চৌধুরী সুমি, মাসুদা খান, সুইটি আক্তার রনি, আজিজ রেজা প্রমুখ।