বাংলাদেশকে আরও ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। রবিবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদল। বৈঠকে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান।
বৈঠকের পর ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন আমাদের প্রতিনিধিদল। যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে, বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রবিবার বৈঠক করেছেন অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তীতে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। বৈঠক দু’টির পর পৃথকভাবে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর দূতাবাসের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের নব উদ্যমে প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়াকে আমরা পৃষ্ঠপোষকতা করব। এ লক্ষ্যে শীর্ষ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও টেকসই উন্নয়নকে ঘিরে তাদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে আমাদের সম্পৃক্ততার বিষয়গুলো আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।’