সাবেক চিফ হুইপ ও কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদের কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি থাকার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি তার বিরুদ্ধে বন বিভাগের জমি দখল করে চা বাগান করার অভিযোগও অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া বগুড়া-৫ আসনের সাবেক এমপি হাবিবর রহমান এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। সংস্থাটির অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছেন আবদুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদ। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদক জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুস শহীদ টানা সাতবার (১৯৯১ থেকে ২০২৪) মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) সংসদীয় আসন থেকে নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে এমপি হয়েও বন বিভাগের জমি দখল করে চা বাগান তৈরি এবং চা বাগানে রাস্তার লাইট ও ডিপ টিউবওয়েল সরকারি খরচে স্থাপনসহ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে রাজধানীসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনাসহ স্ত্রী-সন্তানদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। তার স্ত্রীর নামে কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়িসহ দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বগুড়া-৫ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন হাবিবর রহমান। সাবেক এ এমপির বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে তার নিজ নামে এবং স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদের বিরুদ্ধে আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ নিয়ে কাজ সম্পন্ন না করিয়ে অর্থ উত্তোলন, বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, সাবেক মন্ত্রীর এই ব্যক্তিগত সহকারী নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নিজের এবং স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।