বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস এবং অভিনেতা রিয়াজের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়, যেখানে আওয়ামীপন্থি শিল্পী ও সাংবাদিকেরা যুক্ত ছিলেন।
এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই গ্রুপের স্ক্রিনশট ভাইরাল হওয়ার পরে তাদের নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ছাত্র-জনতার যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া শিল্পীরা।
পাশাপাশি কেউ কেউ নিজেকে জড়িত নয় বলে দাবি করছেন। আবার অনেকে গ্রুপে যুক্ত হওয়ার কারণে ক্ষমাও চেয়েছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ক্ষমতার দাপটে যেসব শিল্পী মানবতা লঙ্ঘন করে জাতির কাছে নীচুতার পরিচয় দিয়েছেন। তাদের জন্য আমার শিল্পী পরিচয় আজ লজ্জার।’
এ অভিনেত্রী জানান, ‘সাধারণ মানুষ বা শিল্পী কেউই রাজনীতিকে উপেক্ষা করতে পারেন না। একজন শিল্পী রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় থাকবে কি না, তা নির্ভর করে তার মনস্তাত্ত্বিক ও ব্যক্তিসত্তার ওপর।’
গ্রুপে সদস্যদের তালিকায় আরও যারা ছিলেন সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, দীপান্বিতা মার্টিন, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।