অতিরিক্ত ক্লান্তি, রাত জাগা, অবসাদ এবং অত্যধিক ঘুম চোখের নিচে কালি বা ডার্ক সার্কেল সৃষ্টি করে। এতে ত্বক ফ্যাকাশে এবং নিস্তেজ দেখায়, চোখের নিচে ফোলা ভাব তৈরি করে, যা চোখের নিচে গাঢ় ছায়া ফেলে। বার্ধক্যে ডার্ক সার্কেল হওয়া স্বাভাবিক। সময়ের সঙ্গে পাতলা হয়ে যায় মানুষের ত্বক, হারায় কোলাজেন ও চর্বি। কোলাজেন ও চর্বি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা রক্ষার জন্য দায়ী। এর প্রতিক্রিয়ায় রক্তনালিগুলো দৃশ্যমান হয় এবং চোখের নিচের অংশটি কালো দেখায়। পানিশূন্যতা বা পর্যাপ্ত পানি পান না করাও এ জন্য দায়ী। ডিহাইড্রেশন হলে চোখ অক্ষিকোটরে বসে যায় এবং কালো দেখায়।
সমস্যার সমাধান : জীবনযাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করবে। যেমন- স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত পানি পান, যথেষ্ট ঘুম, ফিটনেস বজায় রাখা এবং শরীরচর্চা। স্ক্রিন টাইম (যেমন মুঠোফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার) সীমিত করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের প্রসাধনী ভালো করে ওঠাবেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল, তেল বা ক্রিম ব্যবহার করা যায়।
টমেটো : ত্বক নরম এবং চোখের কালিভাব কমিয়ে আনতে প্রতিদিন চোখের নিচে টমেটো রস লাগান। ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আমন্ড তেল : প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য আমন্ড তেল আঙ্গুলে নিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাবেন। দাগ হাল্কা হয়ে যাবে।
দুধ : দুধ ত্বককে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি চোখের নিচের কালিভাব দূর করে। কাঁচা ঠান্ডা দুধে তুলা ডুবিয়ে চোখের ওপর রাখুন। কিছুক্ষণ বাদে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
কমলালেবুর রস : কমলালেবুতে ব্লিচিং প্রপার্টি থাকায় চোখের নিচের কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে। সামান্য কমলালেবুর রসে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগালে চোখের কালিভাব কমাতে সাহায্য করবে।
শসা : প্রতিদিন মোটা মোটা করে শসা স্লাইস করে টুকরোগুলো ৩০ মিনিট ফ্রিজে রাখুন। এবার ১০ মিনিট চোখের নিচে লাগিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
টি-ব্যাগ : চা বানানো শেষে টি-ব্যাগ না ফেলে ফ্রিজে রেখে দিন। এবার চোখের নিচে দিয়ে রাখুন। কদিনেই পার্থক্য টের পাবেন।
লেখা : উম্মে হানি