রাষ্ট্র সংস্কারে ৫ দফা প্রস্তাব মুক্তিজোটের রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে সহনশীল, গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে এ সরকারের কাছে প্রত্যাশা করেছেন মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না।
১লা সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখে শরীফ মোঃ বেদুইন হায়দার লিও স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল বলেন `সাংবিধানিকভাবে যেহেতু এ দেশের মালিক জনগন তাই এমনভাবে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করতে হবে যেন জনগণকে সরকারের ‘চালক ভূমিকায়’প্রতিষ্ঠা করা হয়। অর্থাৎ “জনগণ কেবল সরকার গঠন করবে না, সরকার চালনাও করবে- সরকার প্রসঙ্গে ভোট শুধু একবার নয় বরং সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বারবার।” প্রযুক্তিগত উত্তরণ সাযুজ্যতায় যা সরলীকরণে বলা যায়… দুরে থেকেও যেভাবে মোবাইল ফোনের মধ্যদিয়ে আমরা সংসার চালাচ্ছি, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করছি; সেভাবেই জনগণ সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে মতামত দিয়ে সরকার চালাবে। জুলাই থেকে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও ২৪ শের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের চালানো গণহত্যার তদন্ত করে বিচার এবং আহতদের চিকিৎসাসহ নিহতদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে দাবী করে মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান রাষ্ট্র সংস্কারে ৫টি প্রস্তাবের কথা বলেন- ১. রাষ্ট্র কাঠামোকে শুধু কেন্দ্রীভূতই নয়, কোন দল যেন দলীয়করণ করতে না পারে সে লক্ষ্যে ‘বিকেন্দ্রীভূত-কেন্দ্রীকরণ’ রাষ্ট্র কাঠামো তথা সংবিধানের ৬০ ধারার বাস্তবায়ন করতে হবে, যার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে। ২. নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধান এর ১১৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিধি করতে হবে। ৩. জন প্রতিনিধি (এমপি, মন্ত্রী, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি), বিচারপতি ও সচিব সহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমূহের প্রধানগণ নিজে ও তাদের ফার্স্ট ব্লাড (বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান) এর কেউ বাংলাদেশের বাইরে অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকলে উক্ত দায়ীত্বে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ৪. স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটের ভোটে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নির্বাচিত হতে হবে। ৫. সংসদীয় আসন ৩০০ রেখে, সংসদ সদস্য ৩৩০ এ উন্নিত করতে হবে; নির্বাচিত দলের বাইরে ৩০ জন সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে হবে। যার অনুপাত হবে প্রতি জন নির্বাচিত সংসদ সদস্যর প্রাপ্ত গড় ভোটের অনুপাত অনুসারে। এছাড়াও সংরক্ষিত আসন থাকতে হবে ২০ জন যার ১০ জন নারী প্রতিনিধি, ১ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ২ জন কৃষক প্রতিনিধি, ১ জন শ্রমিক প্রতিনিধি, ১ জন সাংস্কৃতিক কর্মী, ১ জন মানবাধিকার কর্মী, ১ জন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির প্রতিনিধি, ১ জন তৃত্বীয় লিঙ্গ, ১ জন গার্মেন্টস কর্মীর প্রতিনিধি ও ১ জন ক্রীড়া প্রতিনিধি। তিনি আরও বলেন ‘ডান-বাম নয় হাঁটতে হবে বাংলাদেশ বরাবর’এই স্লোগানে মুক্তিজোট এর দাবি সংবিধানের ৬০ ধারা বাস্তবায়ন অর্থাৎ স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র পরিচালিত হোক। ব্যাপক তারূন্যের অংশগ্রহণে দেশ পূর্ণগঠিত হোক। আমরা এক জাতি আমাদের একটাই মাতৃভূমি