কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাই মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরু, বোন মিঠামইন উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভাতিজা মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ কামালসহ ৯২ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে।
মিঠামইন উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের ভাতিজা ফারহান সিকদার বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। প্রথম মামলায় ৪৭ জনের এবং দ্বিতীয় মামলায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে গত ৫ আগস্ট দুপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিজয়মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগে মামলা দুটি করা হয়। হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও বিস্ফোরক আইনে এ মামলা করা হয়।
মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব মামলা দুটির কথা নিশ্চিত করে জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতির ভাই, বোন ও ভাতিজাদের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এখনও কোনো আসামি আটক হয়নি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালানোর খবরে মিঠামইন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএনপি অফিসের সামনে আসার পরই বিপরীত দিক থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পাল্টা মিছিল বের করে বিএনপির মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেন জেরিসহ অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী আহত হন বলে উল্লেখ করেন।
এছাড়া একই দিন বিকালে বিএনপির একটি মিছিলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিজয় মিছিল শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল আলম জাহাঙ্গীরের বড় ভাই শাহরিল আলম তপনের পাঁচফোড়ন নামক হোটেলে প্রবেশ করে ভাঙচুরসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং শাহরিল আলম তপনকে মারধর করে ক্যাশ থেকে নগদ তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।