বাংলাদেশের মাটিতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আইসিসির সঙ্গে আলোচনা চলমান বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আজ রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারা আমাদের জন্য ভালো মাইলফলক হবে। কিন্তু যেহেতু বাংলাদেশ একটা সংকটকালীন পার করছে, আবার একইসঙ্গে যারা আমাদের মেহমান হয়ে আসবেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। সবকিছু বিবেচনায় এটা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই, এখন এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার।’
তিনি আরও বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা) স্যার আছেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। আইসিসির সঙ্গেও আমাদের আলোচনা চলমান আছে। তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’
বেশ কয়েকটি এজেন্ডা নিয়ে আগামী ২০ আগস্ট ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকে বসবে আইসিসি। তারা চাচ্ছে সেই সময়ের মধ্যে যেন বিসিবি নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
সূচি অনুযায়ী আগামী ৩-২০ অক্টোবর বাংলাদেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। যার জন্য আয়োজকদের হাতে আর মাত্র দেড় মাস বাকি। সে হিসেবে দ্রুত জটিলতার অবসান চায় আইসিসি। সংস্থাটি এমন কোনো দেশকে আয়োজক হিসেবে চায়, যাদের টাইম জোন বাংলাদেশের সঙ্গে মিল আছে এবং আবহাওয়া থাকবে খেলার উপযোগী। সেই বিবেচনায় প্রথমেই আরব আমিরাতের নাম আসে। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) অধীনে রয়েছে বিশ্বমানের অবকাঠামো। তারা নিজেরাও এ ধরনের ইভেন্ট আয়োজনে বেশ আগ্রহী। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ে এবং শ্রীলঙ্কাও বিশ্বকাপ আয়োজনে তাদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।