নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী টিম মাঠে নেমেছে-এমন তথ্যে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৭ জুন রাত ৮টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থানকালীন চুনারুঘাট থানার ওসি তাকে হোয়াটস অ্যাপে কল করেন। ওসি তাকে বলেন, আপনাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল তিন দিন আগে ৪/৫ জনের একটি টিম মাঠে নেমেছে। আপনি রাতে বাইরে বের হবেন না সাবধানে থাকবেন। তখন ব্যারিস্টার সুমন ওসির কাছে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন এবং তাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। বিষয়টি জানার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সুমন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন জানান, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম। শিগগিরই পুরো বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হবে।
গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমাকে হত্যার হুমকির কথা আমি আমার এলাকার ওসির মাধ্যমে জেনেছি। এরপর গত রাতে আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেছি। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আমি একজন মেম্বার অফ পার্লামেন্ট, (এমপি) আমাকে কেন জিডি করতে হলো? যেহেতু পুলিশই বিষয়টি আমার আগে জেনেছেন। তাহলে কেন পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিলেন না? তদন্ত করলেন না? যেখানে আমার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার নিরাপত্তা তো এখন আমার নিজেকেই দিতে হচ্ছে। আমি এটাই বুঝলাম না যে, এই রাষ্ট্রযন্ত্র আদৌও আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না? আমার মনে হচ্ছে পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা লেখার জন্য বসে আছে। সাক্ষী দেওয়ার জন্য বসে আছে। তবে বর্তমান পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি ভালোভাবে বিষয়টি দেখছেন বলেছেন।’