কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে বড় ধাক্কা লেগেছে রেমিট্যান্সে। আন্দোলন কেন্দ্রিক সহিংসতার কারণে বন্ধ ছিল বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ইন্টারনেট। এর প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে। চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনের তুলনায় পরের দুই সপ্তাহে প্রবাসী আয় কমে অর্ধেক হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে (১ থেকে ১৩ জুলাই) প্রবাসী আয় এসেছে দিনে ৭ কোটি ৭২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর পরের দুই সপ্তাহে (১৪ থেকে ২৭ জুলাই) প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে গড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৭ ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি জুলাই মাসে ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৭ দিনে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে। এ হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৭ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪ ডলার। এটি আগের মাসের (জুন) চেয়ে কম। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ওই মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় ছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৮ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের ফলে প্রবাসীরা কোনো রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেননি। যার প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে। প্রবাসীরা এক ডলারের বিপরীতে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা পেয়ে থাকেন।