পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সমাপ্তি টানা হয়েছে। সেতুতে যান চলাচল আগেই চালু হলেও নদীশাসনের কাজ বাকি ছিল। এতে প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ে। গত ৩০ জুন প্রকল্পের সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হয়।
নতুন করে মেয়াদ না বাড়ায় প্রকল্পের ইতি টানে সরকার। ১৯৯৮-৯৯ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের যাত্রা থামল ২৬ বছর পর।
প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে সুধী সমাবেশের আয়োজন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সেতু বিভাগ। সমাবেশের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
আজ শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মাওয়ায় পদ্মা সেতু টোল প্লাজার কাছে পদ্মা উত্তর থানার পশ্চিমে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। মঞ্চের পেছনে স্ক্রিনে বৃত্তাকার একটি অংশে পদ্মা সেতু, সুধী সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর নাম রয়েছে। আর বৃত্তাকার অংশের দুই পাশে পদ্মা সেতুর মনোরম দৃশ্য রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে সমাবেশের জন্য মঞ্চ এখন প্রস্তুত।
অনুষ্ঠানের কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বিকেল ৩টায় অতিথিরা আসন গ্রহণ করবেন, বিকেল ৪টায় মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর আগমন, ৪টা ১ মিনিটে সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন বক্তব দেবেন, বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে প্রকল্প সমাপনী উপস্থাপনা করবেন প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিবেন। সব শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী ভাষণ দেবেন।
২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর থেকে গত দুই বছর সেতুর ওপর দিয়ে এক কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানিয়েছেন।