ফ্রাঙ্কফুর্টে সোমবার রাতে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলোয় স্লোভেনিয়াকে টাইব্রেকারে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে পর্তুগাল। এই জয়ে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগিজরা।
এদিন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দেখে মনে হচ্ছিল লড়াইটা যেন নিজের সঙ্গে। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের একটিতেও গোল পাননি। শেষ ষোলোয় ১২০ মিনিট খেলে কেবল একরাশ হতাশাই যোগ হয়েছে তার ম্যাচ। ওপেন প্লে, ফ্রি-কিক, এমনকি পেনাল্টির মতো সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। বারবার ফুঁসে উঠছিলেন নিজের ওপর। অতিরিক্ত সময়ের মাঝপথে তো কেঁদেই দেন।
ভেবেছিলেন এটাই বুঝি শেষ। কিন্তু না, গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তার অসাধারণ দৃঢ়তায় স্লোভেনিয়াকে টাইব্রেকারে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরোর শেষ আটে পা রাখে পর্তুগাল। রোনালদোর চেহারায়ও তাই ম্যাচশেষে হাসির ঝিলিক। এটাই তো ফুটবল, যেখানে আনন্দ-বেদনাসহ সবকিছুর মিশ্রণ থাকে।
রোনালদো বলেন, ‘বেদনায় শুরু, আনন্দে শেষ। এটাই ফুটবল। মুহূর্ত, অবর্ণনীয় মুহূর্ত। লিড এনে দিতে ডিরেক্ট শটে গোল করতে পারিনি আমি। ইয়ান ওবলাক (স্লোভেনিয়ার গোলরক্ষক) ভালো সেভ দিয়েছে… আমাকে পেনাল্টিটা দেখতে হবে, জানি না আমি ভালো নাকি বাজে শট নিয়েছি। কিন্তু এ বছর একটি পেনাল্টিও মিস করিনি আমি এবং যখন এটির সবচেয়ে প্রয়োজন ছিল তখনই মিস করে ফেললাম। ওবলাক ঠেকিয়ে দিল।’
পেনাল্টি মিসের টাইব্রেকারে অবশ্য প্রথম শটটি রোনালদোই নিতে আসেন। এবার আর কোনো ভুল করেননি তিনি। তবে গোল করার পর হাতজোর করে ক্ষমা চান ভক্তদের কাছে। তাতেই বোঝা যায় নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে কতটা অনুতপ্ত তিনি।
পর্তুগিজ অধিনায়ক বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমার শেষ ইউরো। কিন্তু এর জন্য নয়, আমি অনুপ্রাণিত হই উৎসাহ থেকে। ভক্তদের জন্য দুঃখ হচ্ছিল। আমি মিস করি বা না করি, এই জার্সিতে সবসময় নিজের সেরাটা দিয়ে এসেছি আমি এবং আজীবন এমনটা করে যাব। আমাকে দায় নিতে হবে।’
‘আমি মনে করি যোগ্য দল হিসেবেই (শেষ আটে) উঠেছে। কারণ বেশি আধিপত্য দেখিয়েছি আমরা। স্লোভেনিয়া প্রায় পুরোটা ম্যাচই কাটিয়েছে রক্ষণে… (গোল করা) খুব কঠিন ছিল। পুরো দলকে অভিনন্দন জানাতে হবে, বিশেষ করে আমাদের গোলরক্ষককে যে কি না খুবই ভালো তিনটি সেভ দিয়েছে।’
এদিকে শেষ আটে আগামী ৫ জুলাই ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।