চার সপ্তাহের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে পর্দা নামলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে। যেখানে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর আবারও টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত। একইসঙ্গে তাদের ১৩ বছরের শিরোপাখরার আক্ষেপও ঘুচলো। বিশ্বকাপ শেষে আইসিসির বিশেষ একাদশে জায়গা পেয়েছেন সুপার এইটে বিদায় নিশ্চিত হওয়া বাংলাদেশি ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন।
বিশ্বকাপজুড়ে ব্যক্তিগত ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে পয়েন্ট দিয়েছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। মূলত ম্যাচের ফলাফলে বেশি প্রভাব সৃষ্টি করা ক্রিকেটারদের নিয়ে এই পয়েন্টিং করা হয়। যাকে ফ্যান্টাসি পয়েন্ট হিসেবে গণ্য করে, পরবর্তীতে একটি একাদশ গঠন করা হয়। টুর্নামেন্ট চলাকালে এক সপ্তাহে হওয়া ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এমন একাদশ ঘোষণা করা হয়ে আসছিল। এবার পুরো টুর্নামেন্টের ফ্যান্টাসি একাদশ ঘোষণা করল আইসিসি।
বাংলাদেশি লেগস্পিনার রিশাদ তার অভিষেক বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য সব মহলে বেশ প্রশংসিত। নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ যে একজন রিস্ট স্পিনারের জন্য এত অপেক্ষা করেছে, সেটিও কিছুটা হলেও ঘুচেছে। ফলে এবার বিশ্বকাপের সেরা ফ্যান্টাসি একাদশেও পয়েন্টের ভিত্তিতে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। তার পয়েন্ট ৪৭৮।
ওই একাদশে অধিনায়ক হিসেবে আছেন রশিদ খান। আফগানিস্তান দলপতির ফ্যান্টাসি পয়েন্ট ৫৭৮। সবমিলিয়ে পুরো একাদশে সমান তিনজন করে আছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের। এর বাইরে একজন করে আছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার। উইকেটরক্ষক হিসেবে আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (৪৩৭) এবং ব্যাটার হিসেবে ট্রাভিস হেড (৩৬১), ডেভিড ওয়ার্নার (২৮১) ও ত্রিস্টান স্টাবস একাদশে আছেন (২৫৪)।
পয়েন্টের ভিত্তিতে একাদশে অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন দুজন– হার্দিক পান্ডিয়া (৫৪৮) ও মার্কাস স্টয়নিস (৫১১)। ফ্যান্টাসি একাদশের বাকি পাঁচজন বোলার– অধিনায়ক রশিদ (৫৭৮), ফজলহক ফারুকি (৫৪৬), জাসপ্রিত বুমরাহ (৫০৯), আর্শদীপ সিং (৫০৪) ও রিশাদ হোসেন (৪৭৮)।