রাজশাহী-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) শাহরিয়ার আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে মহানগর যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ। গতকাল নগরীর কুমারপাড়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জিরোপয়েন্টে গিয়ে সমাবেশ হয়। পরে শাহরিয়ার আলমকে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান খান মনির, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, নগর ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ, শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী।
এদিকে, বাঘায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে আরেকটি মামলা হয়েছে। উপজেলার তেপুকুরিয়া গ্রামের আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। এতে বাঘা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের বিচারক হাদিউজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০০২ সালের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান পিন্টুকে। ৩ নম্বর আসামি সাধারণ সম্পাদক সামিউল আলম। শাহিনুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক। সামিউল পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। দুজনই স্থানীয় এমপি ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের অনুসারী। এ ছাড়া মামলায় আসামি হয়েছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস, সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন, থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদেক। এর আগে সংঘর্ষের পরদিন শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে করা মামলায় বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলী, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মোকাদ্দেসসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ মামলায় মেরাজুলসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, তার কাছে মামলা করার জন্য কেউ আসেননি। আদালতে মামলার বিষয়টি তিনি জানেন না। আদালত থেকে কোনো কাগজপত্র এখনো পাননি বলে জানিয়েছেন।